Friday, February 28, 2014

৪. মানূষ আল্লাহর কদর বুঝলো না!


৭৪.) তারা আল্লাহর কদরই বুঝলো না যেমন তা বুঝা উচিত। আসল ব্যাপার হচ্ছে, একমাত্র আল্লাহই শক্তিমান ও মর্যাদাসম্পন্ন। সূরা আল হজ্জ্ব

৫. কল্যানের দিকে অগ্রসর লোক


৫৫.) তারা কি মনে করে, আমি যে তাদেরকে অর্থ ও সন্তান দিয়ে সাহায্য করে যাচ্ছি, 

৫৬.) তা দ্বারা আমি তাদেরকে কল্যাণ দানে তৎপর রয়েছি? না, আসল ব্যাপার সম্পর্কে তাদের কোন চেতনাই নেই।

৫৭.) আসলে কল্যাণের দিকে দৌড়ে যাওয়া ও অগ্রসর হয়ে তা অর্জনকারী লোক ৫০(ক) তো তারাই যারা নিজেদের রবের ভয়ে ভীত,

৫৮.) যারা নিজেদের রবের আয়াতের প্রতি ঈমান আনে,

৫৯.) যারা নিজেদের রবের সাথে কাউকে শরীক করে না

৬০.) এবং যাদের অবস্থা হচ্ছে এই যে, যা কিছুই দেয় এমন অবস্থায় দেয় যে,

৬১.) তাদের অন্তর এ চিন্তায় কাঁপতে থাকে যে, তাদেরকে তাদের রবের কাছে ফিরে যেতে হবে।
 ্সূরা আল মুমিনুন।

৬. দ্বীন এ সংকীর্নতা নেই, ইব্রাহীমের মিল্লাত আমরা, ইব্রাহীমের সময় থেকে মুসলিম নাম


আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা চালাও যেমন প্রচেষ্টা চালানো উচিত। তিনি নিজের কাজের জন্য তোমাদেরকে বাছাই করে নিয়েছেন এবং জীবন পদ্ধতির ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোন সংকীর্ণতা আরোপ করেননি। তোমাদের পিতা ইবরাহীমের মিল্লাতের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাও। আল্লাহ আগেও তোমাদের নাম রেখেছিলেন “মুসলিম” এবং এর (কুরআন) মধ্যেও (তোমাদের নাম এটিই) যাতে রসূল তোমাদের ওপর সাক্ষী হন এবং তোমরা সাক্ষী হও লোকদের ওপর। কাজেই প্রার্থনা প্রতিষ্ঠিত করো, যাকাত দাও এবং আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাও। তিনি তোমাদের অভিভাবক, বড়ই ভালো অভিভাবক তিনি, বড়ই ভালো সাহায্যকারী তিনি। সূরা আল হজ্জ্ব/৭৮।

৭. বিলাসপ্রিয়দের কথা


৬৪.) অবশেষে যখন আমি তাদের বিলাসপ্রিয়দেরকে আযাবের মাধ্যমে পাকড়াও করবো ৫৯ তখন তারা আবার চিৎকার করতে থাকবে ৬০

৬৫.) ---এখন বন্ধ করো ৬১ তোমাদের আর্তচিৎকার আমার পক্ষ থেকে এখন কোন সাহায্য দেয়া হবে না। 


৬৬.) আমার আয়াত তোমাদের শোনানো হতো, তোমরা তো (রসূলের আওয়াজ শুনতেই) পিছন ফিরে কেটে পড়তে, ৬২

৬৭.) অহংকারের সাথে তা অগ্রাহ্য করতে, নিজেদের আড্ডায় বসে তার সম্পর্কে গল্প দিতে ৬৩ ও আজেবাজে কথা বলতে।

৬৮.) তারা কি কখনো এ বাণী সম্পর্কে চিন্তা করেনি? ৬৪ অথবা সে এমন কথা নিয়ে এসেছে যা কখনো তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে আসেনি?৬৫

৬৯.) কিংবা তারা নিজেদের রসূলকে কখনো চিনতো না বলেই (অপরিচিত ব্যক্তি হবার কারণে) তাকে অস্বীকার করে?৬৬

৭০.) অথবা তারাকি একথা বলে যে, সে উন্মাদ? ৬৭ না, বরং সে সত্য নিয়ে এসেছে এবং সত্যই তাদের অধিকাংশের কাছে অপছন্দনীয়। 


৭১.) ----আর সত্যযদি কখনো তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করতো তাহলে আকাশ ও পৃথিবী এবং তাদের মধ্যের সবকিছুর ব্যবস্থাপনা ওলট-পালট হয়ে যেতো৬৮ ---না, বরং আমি তাদের নিজেদের কথাই তাদের কাছে এনেছি এবং তারা নিজেদের কথা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ৬৯

৭২.) তুমি কি তাদের কাছে কিছু চাচ্ছো? তোমার জন্য তোমার রব যা দিয়েছেন, সেটাই ভালো এবং তিনি সবচেয়ে ভালো রিযিকদাতা।৭০

৭৩.) তুমি তো তাদেরকে সহজ সরল পথের দিকে ডাকছো,

৭৪.) কিন্তু যারা পরকাল স্বীকার করে না তারা সঠিক পথ থেকে সরে ভিন্ন পথে চলতে চায়।৭১

৭৫.) যদি আমি তাদের প্রতি করুণা করি এবং বর্তমানে তারা যে দুঃখ-কষ্টে ভুগছে তা দূর করে দেই, তাহলে তারা নিজেদের অবাধ্যতার স্রোতে একেবারেই ভেসে যাবে।

৭৬.) তাদের অবস্থা হচ্ছে এই যে, আমি তাদের দুঃখ-কষ্টে ফেলে দিয়েছি, তারপরও তারা নিজেদের রবের সামনে নত হয়নি এবং বিনয় ও দ্বীনতাও অবলম্বন করে না।

৭৭.) তবে যখন অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যাবে যে, আমি তাদের জন্য কঠিন আযাবের দরজা খুলে দেবো তখন অকস্মাত তোমরা দেখবে যে, এ অবস্থায় তারা সকল প্রকার কল্যাণ থেকে হতাশ হয়ে পড়েছে।
সূরা আল মুমিনুন।

৯. আল্লাহর নাজিল করা প্রমান ছাড়া ইবাদত করা যাবে না


৭১.) তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কিছুর ইবাদাত করে যাদের জন্য না তিনি কোন প্রমাণ পত্র অবতীর্ণ করেছেন আর না তারা নিজেরাই তাদের ব্যাপারে কোন জ্ঞান রাখে। এ জালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই। সূরা আল হাজ্জ্ব।

১০. আল্লাহ মানুষকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কিছু চাপিয়ে দেন না


৬২.) আমি কোন ব্যক্তির ওপর,৫৪(ক) তার সাধ্যের বাইরে কোন দায়িত্ব অর্পণ করি না ৫৫ এবং আমার কাছে একটি কিতাব আছে যা (প্রত্যেকের অবস্থা) ঠিকমতো জানিয়ে দেয়৫৬ আর কোনোক্রমেই লোকদের প্রতি জুলুম করা হবে না।৫৭

৬৩.) কিন্তু তারা এ ব্যাপারে অচেতন। ৫৮ আর তাদের কার্যাবলীও এ পদ্ধতির (যা ওপরে বর্ণনা করা হয়েছে) বিপরীত। তারা নিজেদের এসব কাজ করে যেতে থাকবে,

৬৪.) অবশেষে যখন আমি তাদের বিলাসপ্রিয়দেরকে আযাবের মাধ্যমে পাকড়াও করবো ৫৯ তখন তারা আবার চিৎকার করতে থাকবে ৬০

৬৫.) ---এখন বন্ধ করো ৬১ তোমাদের আর্তচিৎকার আমার পক্ষ থেকে এখন কোন সাহায্য দেয়া হবে না। 

৬৬.) আমার আয়াত তোমাদের শোনানো হতো, তোমরা তো (রসূলের আওয়াজ শুনতেই) পিছন ফিরে কেটে পড়তে, ৬২

৬৭.) অহংকারের সাথে তা অগ্রাহ্য করতে, নিজেদের আড্ডায় বসে তার সম্পর্কে গল্প দিতে ৬৩ ও আজেবাজে কথা বলতে।

৬৮.) তারা কি কখনো এ বাণী সম্পর্কে চিন্তা করেনি? ৬৪ অথবা সে এমন কথা নিয়ে এসেছে যা কখনো তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে আসেনি?৬৫

৬৯.) কিংবা তারা নিজেদের রসূলকে কখনো চিনতো না বলেই (অপরিচিত ব্যক্তি হবার কারণে) তাকে অস্বীকার করে?৬৬

৭০.) অথবা তারাকি একথা বলে যে, সে উন্মাদ? ৬৭ না, বরং সে সত্য নিয়ে এসেছে এবং সত্যই তাদের অধিকাংশের কাছে অপছন্দনীয়।

৭১.) ----আর সত্যযদি কখনো তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করতো তাহলে আকাশ ও পৃথিবী এবং তাদের মধ্যের সবকিছুর ব্যবস্থাপনা ওলট-পালট হয়ে যেতো৬৮ ---না, বরং আমি তাদের নিজেদের কথাই তাদের কাছে এনেছি এবং তারা নিজেদের কথা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
সূরা আল মুমিনুন।

১১. কোরআন নিজেই নিজের সর্বোত্তম তাফসীর


আর (এর মধ্যে এ কল্যাণকর উদ্দেশ্যও রয়েছে যে) যখনই তারা তোমার সামনে কোন অভিনব কথা (অথবা অদ্ভূত ধরনের প্রশ্ন) নিয়ে এসেছে তার সঠিক জবাব যথাসময়ে আমি তোমাকে দিয়েছি এবং সর্বোত্তম পদ্ধতিতে তাফসীর করে দিয়েছি। 
সূরা আল ফোরকান/৩৩।

১২. রাসূল (দঃ) খাবার খেতেন ও বাজারে চলাফেরা করতেন


২০.) হে মুহাম্মাদ! তোমার পূর্বে যে রসূলই আমি পাঠিয়েছি তারা সবাই আহার করতো ও বাজারে চলাফেরা করতো। আসলে আমি তোমাদের পরস্পরকে পরস্পরের জন্য পরীক্ষার মাধ্যমে পরিণত করেছি। তোমরা কি সবর করবে? তোমাদের রব সবকিছু দেখেন।

৭.) তার বলে, “এ কেমন রসূল, যে খাবার খায় এবং হাটে বাজারে ঘুরে বেড়ায়? কেন তার কাছে কোন ফেরেশতা পাঠানো হয়নি, যে তার সাথে থাকতো এবং (অস্বীকারকারীদেরকে) ধমক দিতো? সূরা আল ফোরকান।

১৩. জান্নাতে প্রত্যকটি ইচ্ছা পূরন করা হবে


১৬.) সেখানে তাদের প্রত্যেকটি ইচ্ছা পূর্ণ হবে। তার মধ্যে তারা থাকবে চিরকাল। তা প্রদান করা হবে তোমার রবের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত একটি অবশ্য পালনীয় প্রতিশ্রুতি। সূরা আল ফোরকান।

১৪. মানুষ পরস্পরের জন্য পরীক্ষা


২০.) তোমার পূর্বে যে রসূলই আমি পাঠিয়েছি তারা সবাই আহার করতো ও বাজারে চলাফেরা করতো। আসলে আমি তোমাদের পরস্পরকে পরস্পরের জন্য পরীক্ষার মাধ্যমে পরিণত করেছি। তোমরা কি সবর করবে? তোমাদের রব সবকিছু দেখেন। সূরা আল ফোরকান।

১৫. লোকেরা এ কুরআনকে হাসি-ঠাট্টার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল


৩০.) আর রসূল বলবে, “হে আমার রব! আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা এ কুরআনকে হাসি-ঠাট্টার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল।”

১৬. প্রবৃত্তি বা নিজের কামনা বাসনাকে ইলাহ বা মান্য হিসেবে নেয়া


৪৩.) কখনো কি তুমি সেই ব্যক্তির অবস্থা ভেবে দেখেছো, যে তার নিজের প্রবৃত্তির কামনাকে প্রভু রূপে গ্রহণ করেছে? তুমি কি এহেন ব্যক্তিকে সঠিক পথে নিয়ে আসার দায়িত্ব নিতে পার?

৪৪.) তুমি কি মনে করো তাদের অধিকাংশ লোক শোনে ও বোঝে? তারা পশুর মতো বরং তারও অধম। সূরা আল ফোরকান।

১৭. কোরআন নিয়ে বৃহত্তম জিহাদ বা প্রচেষ্টা চালানো


৫২.) কাজেই হে নবী, কাফেরদের কথা কখনো মেনে নিয়ো না এবং এ কুরআন নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বৃহত্তম জিহাদ করো। সূরা আল ফোরকান।

১৮. রাসূল (দঃ) শুধু সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী


৫৬.) হে মুহাম্মাদ। তোমাকে তো আমি শুধুমাত্র একজন সুসংবাদ দানকারী ও সতর্ককারী করে পাঠিয়েছি। সূরা আল ফোরকান।

১৯. আল্লাহর কাজ করে প্রতিদান নেওয়া


৫৭.) এদের বলে দাও “এ কাজের জন্য আমি তোমাদের কাছ থেকে কোন প্রতিদান চাই না, যে চায় সে তার নিজের রবের পথ অবলম্বন করুক, এটিই আমার প্রতিদান। সূরা আল ফোরকান।

২০. অপচয়, হত্যা ও ব্যভিচারের শাস্তি


৬৭.) তারা যখন ব্যয় করে তখন অযথা ব্যয় করে না এবং কার্পণ্যও করে না বরং উভয় প্রান্তিকের মাঝামাঝি তাদের ব্যয় ভারসাম্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকে।

৬৮.) তারা আল্লাহ‌ ছাড়া আর কোন উপাস্যকে ডাকে না, আল্লাহ‌ যে প্রাণকে হারাম করেছেন কোন সঙ্গত কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। এসব যে-ই করে সে তার গোনাহের শাস্তি ভোগ করবে।

৬৯.) কিয়ামতের দিন তাকে উপর্যুপরি শাস্তি দেয়া হবে এবং সেখানেই সে পড়ে থাকবে চিরকাল লাঞ্ছিত অবস্থায়। সূরা আল ফোরকান/৬৭-৬৯

২১. তওবার মাধ্যমে অসত প্রবনতাগুলো সৎ প্রবনতায় রূপান্তর


৭০.) তবে তারা ছাড়া যারা (ঐসব গোনাহের পর) তাওবা করেছে এবং ইমান এনে সৎকাজ করতে থেকেছে। এ ধরনের লোকদের অসত প্রবনতাগুলোকে আল্লাহ‌ সৎপ্রবনতায় রূপান্তর করে দেবেন এবং আল্লাহ‌ বড়ই ক্ষমাশীল ও মেহেরবান। 

৭১.) যে ব্যক্তি তাওবা করে ঈমানের দাবী পূরনে ততপর হয়, সে তো আল্লাহর দিকে ফিরে আসার মতই ফিরে আসে। সূরা আল ফোরকান।