Saturday, November 1, 2014

অধ্যায়২ঃ গাভী (১-২০)

প্রভূ! দূরাত্মাদের প্ররোচনা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই; এমনকি তারা যেন আমার ধারে কাছেও আসতে না পারে।
শুরু করছি উপাস্যের নামে, যিনি পরম করুণাময় অতিশয় দয়ালু।

নিত্যপাঠ্যের শুরুতেই
সৃষ্টিকর্তা তিন ধরনের মানুষের কথা বলেছেন।
পৃথিবীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
এই তিন ধরনের মানুষই থাকবে।

এক ধরনের মানুষ সুপথপ্রাপ্ত,
যাদের কথা আছে
গাভী অধ্যায়ের ১ থেকে ৫ নং সূত্রে।

আরেক ধরনের মানুষ শান্তি বিখলা সষ্টিকারী
যাদের কথা আছে
গাভী অধ্যায়ের ৬ থেকে ৭ নং সূত্রে।

আরেক ধরনের মানুষ আছে কপট অরথ্যাত শান্তিকামীর ছদ্মবেশে অশান্তিকামী
যাদের কথা আছে
গাভী অধ্যায়ের ৮ থেকে ২০ নং আয়াতে।

আমরা যাচাই করে দেখতে পারি যে,
আমরা কোন দলে আছি।


পরিচ্ছেদ/১

আলিফ লাম মীম।
এটি ত্য উপদেশমালা, যাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এটি তাদের নির্দেশক
যারা সচেতন মানুষ।
যারা অদেখা প্রতি বিশ্বাস রেখে 
শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য,
মানুষের মাঝে সত্যের অনুসরন 
কায়েমের যায়।
তাদেরকে যে জীবনোপকরণ দেয়া হয়েছে
তা থেকে খরচ করে যায়।
আর যারা শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যায় 
সে ত্যানুসারে
যা তোমার কাছে প্রকাশ করা হয়েছে
এবং যা তোমার আগে প্রকাশিত হয়েছে।
আর কর্ম পরবর্তী ফলাফলের প্রতি 
নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে।
এরাই তাদের প্রভূনির্দেশনার উপর আছে
এবং এরাই সফল।

আর যারা ত্যকে অস্বীকার করে,
তুমি তাদেরকে সতর্ক করো বা না করো
উভয়ই তাদের জন্য সমান।
তারা মানবে না।
তাদের রয়েছে মানসিক রোগ।
উপাস্য তাদের এই রোগকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন,
যার পরিনতি ভয়ংকর শাস্তি।

পরিচ্ছেদ/২.

মানুষের মধ্যে কিছু লোক থাকে যারা বলে,
আমরা বিধাতার বিধান অনুযায়ী
কর্ম পরিনতির কথা ভেবে
শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করি
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা শান্তিকামী নয় ৷
তারা বিধাতার সাথে ও যারা শান্তিকামী
তাদের সাথে ধোঁকাবাজি করে ৷
কিন্তু আসলে তারা নিজেদের সাথেই ধোঁকাবাজি করে
তবে তারা এটা উপলবধি করতে পারে না

এ লোকেরা মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত,
উপাস্য সে রোগ আরো বাড়িয়ে দেন,
আর যে মিথ্যা তারা বলে
তার বিনিময়ে তাদের জন্য থাকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ৷

যখনই তাদের বলা হয়েছে ,
পৃথিবীতে অশান্তি-বিপর্যয় সৃষ্টি করো না,
তখনই তারা বলে, আমরা তো শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী৷
সাবধান! এরাই অশান্তি সৃষ্টিকারী,
তবে তারা এ ব্যাপারে সচেতন নয় ৷

আর যখন তাদের বলা হয়,
অন্য লোকেরা যেভাবে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে
তোমরাও সেভাবে কাজ করো।
তখন তারা এ জবাবই দেয় যে-
আমরা কি কাজ করবো নির্বোধদের মতো?
সাবধান! আসলে এরাই নির্বোধ, কিন্তু এরা জানে না ৷

যখন এরা শান্তিকামীদের সাথে মিলিত হয় তখন বলেঃ
আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী
আবার যখন নিরিবিলিতে নিজেদের দূরাত্মাদের সাথে মিলিত হয়
তখন বলেঃ আমরা তো আসলে তোমাদের সাথেই আছি
আর ওদের সাথে তো নিছক তামাশা করি 
বিধাতা এদের সাথে তামাশা করেন,
এদের রশি দীর্ঘায়িত বা ঢিল দিয়ে যান
এবং এরা নিজেদের বিধাতা দ্রোহের মাঝে
অন্ধের মতো পথ হাতড়ে মরে

এরাই সঠিক নির্দেশনার বিনিময়ে
বিভ্রান্তি ক্রয় করে নেয়
কিন্তু এ ব্যবসাটি তাদের জন্য লাভজনক প্রমানিত হয়
এবং এরা সুপথপ্রাপ্ত হয় না

এদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে,
যেমন এক ব্যক্তি আগুন জ্বালালো
এবং যখনই সেই আগুন চারপাশ আলোকিত করলো
তখন উপাস্য তাদের দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিলেন
এবং তাদের ছেড়ে দিলেন এমন অবস্থায়
যখন অন্ধকারের মধ্যে
তারা কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না।

তারা কালা, বোবা, অন্ধ৷
তারা আর ফিরে আসবে না ৷

অথবা এদের দৃষ্টান্ত এমন যে,
আকাশ থেকে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে ৷
তার সাথে আছে অন্ধকার মেঘমালা ,
বজ্রের গর্জন ও বিদ্যুৎ চমক ৷
বজ্রপাতের আওয়াজ শুনে নিজেদের প্রাণের ভয়ে
এরা কানে আঙুল ঢুকিয়ে দেয় ৷
উপাস্য এ সত্য অস্বীকারকারীদেরকে
সবদিক থেকে ঘিরে রেখেছেন ৷
বিদ্যুৎ চমকে তাদের অবস্থা এই দাঁড়িয়েছে
যেন বিদ্যুৎ শীগগির তাদের দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নেবে ৷
যখন সামান্য একটু আলো তারা অনুভব করে
তখন তার মধ্যে কিছুদূর চলে
এবং যখন তাদের ওপর অন্ধকার ছেয়ে যায়
তখন দাঁড়িয়ে পড়ে ৷
উপাস্য চাইলে তাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি
একেবারেই কেড়ে নিতে পারতেন ৷

নিঃসন্দেহে তিনি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী ৷

No comments:

Post a Comment