Saturday, January 11, 2014

১১২ কোরআনই অন্তর্দৃষ্টি বা বাছায়ের

এটা (কোরয়ান) সব মানুষের জন্য অন্তর্দৃষ্টি এবং যারা দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করে তাদের জন্য হিদায়াত ও রহমত। ৪৫.২০

১১৩. প্রবৃত্তিকে আল্লাহর শরীক করা (শিরক)

তুমি কি কখনো সেই ব্যক্তির অবস্থা ভেবে দেখেছো যে তার প্রবৃত্তির কামনা বাসনাকে খোদা বানিয়ে নিয়েছে আর জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ তাকে গোমরাহীর মধ্যে নিক্ষেপ করেছেন, তার দিলে ও কানে মোহর মেরে দিয়েছেন এবং চোখে আবরণ সৃষ্টি করেছেন।  আল্লাহ ছাড়া আর কে আছে যে তাকে হিদায়াত দান করতে পারে? তোমরা কি কোন শিক্ষা গ্রহণ করো না? আল কোরয়ান/৪৫.২৩

তাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা মনযোগ দিয়ে তোমার কথা শোনে এবং যখন তোমার কাছ থেকে চলে যায় তখন যাদেরকে জ্ঞানের নিয়ামত দান করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞেস করে যে, এই মাত্র তিনি কী বললেন? এরাই সেসব লোক যাদের অন্তরে আল্লাহ‌ তা’আলা মোহর লাগিয়ে দিয়েছেন। তারা তাদের প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে গিয়েছে।
আল কোরয়ান/৪৭.১৬

প্রকৃতপক্ষে এসব তোমাদের বাপ-দাদাদের রাখা নাম ছাড়া আর কিছুই না। এজন্য আল্লাহ‌ কোন সনদপত্র নাযিল করেননি। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, মানুষ শুধু ধারণা ও প্রবৃত্তির বাসনার দাস হয়ে আছে। অথচ তাদের রবের পক্ষ থেকে তাদের কাছে হিদায়াত এসেছে। আল কোরয়ান/৫৩.২৩

অথচ এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞানই নেই। তারা কেবলই বদ্ধমূল ধারণার অনুসরণ করছে। আর ধারণা কখনো জ্ঞানের প্রয়োজন পূরণে কোন কাজে আসতে পারে না। আল কোরয়ান/৫৩.২৮

কিন্তু এসব লোকের অবস্থা হচ্ছে তারা যে নিদর্শনই দেখে, তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে এ তো গতানুগতিক যাদু।  এরা (একেও) অস্বীকার করলো এবং নিজেদের প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করলো। প্রত্যেক বিষয়কে শেষ পর্যন্ত একটা পরিণতি লাভ করতে হয়। আল কোরয়ান/৫৪.২-৩

১১৪. রিযিক আসে আসমান থেকে

আসমানেই রয়েছে তোমাদের রিযিক এবং সে জিনিসও যার প্রতিশ্রুতি তোমাদের দেয়া হচ্ছে। আল কোরয়ান-৫১.২২

আল্লাহ নিজেই রিযিকদাতা এবং অত্যন্ত শক্তিধর ও পরাক্রমশালী। আল কোরয়ান-৫১.৫৮

১১৫. মৃত্যুর পর প্রশ্ন

অহীর মাধ্যমে তোমার কাছে যে কিতাব পাঠানো হয়েছে 
সর্বাবস্থায় তুমি দৃঢ়ভাবে তা আঁকড়ে থাকো।
নিশ্চয়ই তুমি সোজা পথে আছো।  
প্রকৃত সত্য হলো, 
এ কিতাব তোমার ও তোমার কর্মের জন্য 
অনেক বড় একটি মর্যাদা 
এবং এজন্য অচিরেই তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে।
(সূরা আয যুখরুফ/৪৩-৪৪)

আর সেদিনের কথা একবার চিন্তা করো,
যেদিন আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্য থেকে 

এমন সব লোকদের এক একটি দলকে ঘেরাও করে আনবো 
যারা আমার বানীসমূহ অস্বীকার করতো। 
তারপর তাদেরকে (তাদের শ্রেণী অনুসারে স্তরে স্তরে) বিন্যস্ত করা হবে। 
অবশেষে যখন সবাই এসে যাবে 
তখন (তাদের প্রভূ তাদেরকে) জিজ্ঞেস করবেন, 
“তোমরা আমার বানীসমূহ অস্বীকার করেছো 
অথচ তোমরা জ্ঞানগতভাবে তা আয়ত্ত করো নি। 
যদি এ না হয়ে থাকে তাহলে তোমরা আর কি করেছিলে?” 
(সূরা আন নামল/৮৩-৮৫)

একে অপরের থেকে বেশী 

দুনিয়ার স্বার্থ লাভ করার মোহ 
তোমাদেরকে উদাসীনতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। 
এমনকি (এই চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে) 
তোমরা কবর পর্যন্ত পৌঁছে যাও। 
কখ্খনো না, শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে।
আবার (শুনে নাও) 

কখ্খনো না শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে। 
কখ্খনো না, যদি তোমরা নিশ্চিত জ্ঞানের ভিত্তিতে 
(এই আচরণের পরিণাম) জানতে 
(তাহলে তোমরা এ ধরনের কাজ করতে না)। 
 তোমরা জাহান্নাম দেখবেই। 
আবার (শুনে নাও) 
তোমরা একেবারে স্থির নিশ্চিতভাবে তা দেখবেই। 
তারপর অবশ্যই সেদিন তোমাদেরকে 
এই নিয়ামতগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 
(সূরা আত তাকাসুর)