Monday, June 2, 2014

১৮১.২. অহী


কোন মানুষই এ মর্যাদার অধিকারী নয় যে, 
আল্লাহ‌ তার সাথে সরাসরি কথা বলবেন। 
তিনি কথা বলেন হয় অহীর (ইঙ্গিত) মাধ্যমে, 
অথবা পর্দার আড়াল থেকে, 
কিংবা তিনি কোন বার্তাবাহক পাঠান 
এবং সে তাঁর নির্দেশে তিনি যা চান অহী হিসেবে দেয়। 
তিনি সুমহান ও সুবিজ্ঞ।  
এভাবেই আমি আমার নির্দেশে 
তোমার কাছে এক রূহকে অহী করেছি। 
তুমি আদৌ জানতে না কিতাব কি 
এবং ঈমানই বা কি। 
কিন্তু সেই রূহকে আমি একটি আলো বানিয়ে দিয়েছি 
যা দিয়ে আমি আমার বান্দাদের মধ্যে 
যাকে ইচ্ছা পথ দেখিয়ে থাকি। 
নিশ্চিতভাবেই আমি তোমাকে সোজা পথের 
দিক নির্দেশনা দান করছি।  
সেই আল্লাহর পথের দিকে 
যিনি যমীন ও আসমানের সব জিনিসের মালিক। 
সাবধান, সব কিছু আল্লাহর দিকেই ফিরে যায়। 
(সূরা আশ শূরা/৫১-৫৩)।

ওদেরকে বলে দাও,
যে ব্যক্তি জিব্রীলের সাথে শত্রুতা করে
তার জেনে রাখা উচিত,
জিজিব্রীল আল্লাহরই হুকুমে
এই কুরআন তোমার দিলে অবতীর্ণ করেছে।
এটি পূর্বে আগত কিতাবগুলোর সত্যতা স্বীকার করে
ও তাদের প্রতি সমর্থন যোগায়
এবং বিশ্বাসীদের জন্য পথনির্দেশনা
ও সাফল্যের বার্তাবাহী।
(সূরা আল বাকারাহঃ ৯৭)

Sunday, June 1, 2014

১৮০. আল্লাহর পক্ষ থেকে জীবনোপকরনের কম বেশী করার তাৎপর্যঃ

তাদেরকে বলে দাও, আমার রব যাকে চান প্রশস্ত রিযিক দান করেন এবং যাকে চান মাপাজোকা দান করেন কিন্তু বেশীর ভাগ লোক এর প্রকৃত তাৎপর্য জানে না। তোমাদের এই ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি এমন নয় যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করে; হ্যাঁ, তবে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও তদানুযায়ী সৎকাজ করে। এরাই এমন লোক যাদের জন্য রয়েছে তাদের কর্মের দ্বিগুণ প্রতিদান এবং তারা সুউচ্চ ইমারতসমূহে নিশ্চিন্তে-নিরাপদে থাকবে।
যারা আমার আয়াতকে ব্যর্থ করার জন্য প্রচেষ্টা চালায় তারা শাস্তি ভোগ করবে। তাদেরকে বলো, “আমার রব তাঁর ক্রীতদাসদের মধ্য থেকে যাকে চান মুক্ত হস্তে রিযিক দান করেন এবং যাকে চান মাপাজোকা দেন। যা কিছু তোমরা ব্যয় করে দাও তার জায়গায় তিনি তোমাদের আরো দেন, তিনি সব রিযিকদাতার চেয়ে ভাল রিযিকদাতা।” সূরা আস সাবা/৩৬-৩৯।