Wednesday, October 15, 2014

১৯১. রিযিক বা জীবনোপকরন

সূরা হুদের ৬ নং আয়াতটির পর রিযিক বা জীবনোপকরনের ব্যাপারে আর কোন প্রশ্ন থাকে বলে আমার মনে হয় না। আয়াতটি হচ্ছে,

"ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী এমন কোন প্রাণী নেই
যার জীবনোপকরন সরবরাহের দায়িত্ব 
আল্লাহর ওপর বর্তায় না
এবং যার সম্পর্কে তিনি জানেন না,
কোথায় সে থাকে
এবং কোথায় তাকে সোপর্দ করা হয়।
সবকিছুই একটি পরিষ্কার গ্রন্থে আছে।"

সূরা আল মায়েদাহ এর ৬৬ নং আয়াতে আছে,

"হায়! যদি তারা তাওরাত, ইনজিল
ও অন্যান্য কিতাবগুলো প্রতিষ্ঠিত করতো,
যা তাদের প্রভূর পক্ষ থেকে
তাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল!
তাহলে তাদের জন্য জীবনোপকরন
ওপর থেকেও বর্ষিত হতো
এবং নীচে থেকেও উত্থিত হতো।
তাদের মধ্যে কিছু লোক সত্যপন্থী হলেও
অধিকাংশই অত্যন্ত খারাপ কাজে লিপ্ত।"

সূরা ইউনূসের ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

"তাদেরকে জিজ্ঞেস করো,
“কে তোমাদের আকাশ ও পৃথিবী থেকে জীবনোপকরন দেয়?
এই শুনার ও দেখার শক্তি কার কর্তৃত্বে আছে?
কে প্রাণহীন থেকে সজীবকে
এবং সজীব থেকে প্রাণহীনকে বের করে?
কে চালাচ্ছে এই বিশ্ব ব্যবস্থাপনা?”
তারা নিশ্চয়ই বলবে, আল্লাহ।
বলো, তবুও কি তোমরা আল্লাহর অন্তোষকে ভয় করবে না?

সূরা আর রাদের ২৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

"আল্লাহ যাকে চান তার জীবনোপকরন সম্প্রসারিত করেন
এবং যাকে চান মাপাজোকা জীবনোপকরন দান করেন।
এরা দুনিয়ার জীবনে উল্লসিত,
অথচ দুনিয়ার জীবন পরকালের তুলনায়
সামান্য সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নয়।"

সূরা বনী ইসরাঈলের ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

"দারিদ্রের আশঙ্কায় নিজেদের সন্তান হত্যা করো না।
আমি তাদেরকেও জীবনোপকরন দেবো এবং তোমাদেরকেও।
আসলে তাদেরকে হত্যা করা একটি মহাপাপ।"

সূরা ত্ব-হার ১৩১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,

"আর চোখ তুলেও তাকাবে না
দুনিয়াবী জীবনের শান-শওকতের দিকে,
যা আমি এদের মধ্য থেকে
বিভিন্ন ধরনের লোকদেরকে দিয়ে রেখেছি।
এসব তো আমি এদেরকে
পরীক্ষার মুখোমুখি করার জন্য দিয়েছি
এবং তোমার প্রভূর দেয়া বৈধ জীবনোপকরনই
উত্তম ও অধিকতর স্থায়ী।