Friday, April 25, 2014

১৬২. আনন্দ

বলো, “এ জিনিসটি যে, তিনি পাঠিয়েছেন এটি আল্লাহর অনুগ্রহ এবং তার মেহেরবানী। এ জন্য তো লোকদের আনন্দিত হওয়া উচিত। তারা যা কিছু জমা করছে সে সবের চেয়ে এটি অনেক ভাল।” সূরা ইউনূস/৫৮।

প্রকৃত ব্যাপার এই যে, আল্লাহ‌ মুমিনদের থেকে তাদের প্রাণ ও ধন-সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে এবং মারে ও মরে। তাদের প্রতি তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে(জান্নাতের ওয়াদা) আল্লাহর জিম্মায় একটি পাকাপোক্ত ওয়াদা বিশেষ। আর আল্লাহর চাইতে বেশী নিজের ওয়াদা পূরণকারী আর কে আছে? কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে যে কেনা-বেচা করছো সেজন্য আনন্দ করো। এটিই সবচেয়ে বড় সাফল্য। সূরা তওবা/১১১।


যখন কোন নতুন সূরা নাযিল হয় তখন তাদের কেউ কেউ (ঠাট্টা করে মুসলমানদের) জিজ্ঞেস করে, বলো, এর ফলে তোমাদের কার ঈমান বেড়ে গেছে? (এর জবাব হচ্ছে) যারা ঈমান এনেছে (প্রত্যেকটি অবতীর্ণ সুরা) যথার্থই ঈমান বাড়িয়েই দিয়েছে এবং তারা এর ফলে আনন্দিত। সূরা তওবা/১২৪।

১৬১. তালাক

পবিত্র কোরআনে এক সাথে তিন তালাকের কোনো বিধানই নাই। এটা দীর্ঘ আর যুক্তিযুক্ত একটা প্রসেস। অথচ মোল্লারা এই একসাথে তিন তালাকের ব্যাপারটা জায়েয করে কত মেয়ের যে জীবন নষ্ট করেছে তার কোনো হিসাব নেই। তেমনি মোল্লারা যে ধরনের হিল্লার ব্যবস্থা করে এটা কোরআন অনুযায়ী সম্পূর্ন হারাম ও ব্যভিচার। কোরআনের নিয়ম অনুযায়ী তিন তালাক হয়ে যাবার পর চুক্তি মোতাবেক কারো সাথে বিয়ে দিয়ে তারপর তাকে ছাড়িয়ে এনে পুনরায় বিয়ে করা একটা ব্যভিচার। কারন ছেড়ে দেয়ার শর্তে যে বিয়ে হয় সেটা কোনো বিয়েই নয়। বিয়ে হতে হবে নিঃশর্ত। তারপর যদি কোনো কারনে তালাকপ্রাপ্তা মহিলার স্বামী মারা যায় বা তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তখন প্রথম স্বামীর জন্য ঐ স্ত্রীকে আবার ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে। সূরা বাকারার ২২৬ থেকে ২৪২ দ্রষ্টব্য।

১৬০. কোরয়ানের কোনো আয়াতের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ পোষন করা যাবে না

এখন যদি তোমার সেই হিদায়াতের ব্যাপারে সমান্যও সন্দেহ থেকে থাকে যা আমি তোমার ওপর নাযিল করেছি তাহলে যারা আগে থেকেই কিতাব পড়ছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করে নাও। প্রকৃতপক্ষে তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার কাছে এ কিতাব মহাসত্য হয়েই এসেছে। কাজেই তুমি সন্দেহকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না এবং যারা আল্লাহর আয়াতকে মিথ্যা বলেছে তাদের মধ্যেও শামিল হয়ো না, তাহলে তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের দলভুক্ত হবে। সূরা ইউনূস/৯৪-৯৫।

১৫৯. তরুনরাই ঈমান আনে

(তারপর দেখো) মুসাকে তার কওমের কতিপয় নওজোয়ান ছাড়া কেউ মেনে নেয়নি, ফেরাউনের ভয়ে এবং তাদের নিজেদেরই কওমের নেতৃস্থানীয় লোকদের ভয়ে। (তাদের আশঙ্কা ছিল) ফেরাউন তাদের ওপর নির্যাতন চালাবে। আর প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে এই যে, ফেরাউন দুনিয়ায় পরাক্রমশালী ছিল এবং সে এমন লোকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল যারা আল্লাহর সীমানা মানে না। সূরা ইউনূস/৮৩।

১৫৮. মৃত্যু কামনা করবে কারা?

কেউ যদি নিজেকে আল্লাহর প্রিয় বলে দাবী করে তবে সে অবশ্যই মৃত্যু কামনা করবে যাতে দ্রুত আল্লাহর সান্নিধ্যে যেতে পারেঃ

তুমি বল, হে ইহুদী হয়ে যাওয়া লোকগণ! তোমরা যদি ভেবে থাকো যে, অন্য সব মানুষ বাদ দিয়ে কেবল তোমরাই আল্লাহর প্রিয়পাত্র, আর তোমাদের এ ধারণার ক্ষেত্রে তোমরা যদি সত্যবাদী হয়ে থাকো, তাহলে মৃত্যু চেয়ে নাও। কিন্তু যেসব অপকর্ম তারা করেছে তার কারণে তারা কখনো মৃত্যু কামনা করবে না। আল্লাহ‌ এসব জালেমকে খুব ভালভাবেই জানেন। সূরা আল জুময়া/৬-৭।

১৫৭. আল্লাহর ফযল তালাশ করা

"তারপর যখন নামায শেষ হয়ে যায় তখন ভূ-পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো এবং অধিক মাত্রায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো। আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে। সূরা আল জুময়া/১০।"

অনেকেই এই আয়াত দ্বারা আল্লাহর ফযল বলতে ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা এসব বুঝে থাকেন। কিন্তু আসলে কি তাই? না। বরং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ফযল বলতে কুরয়ানুল কারীমকে বুঝিয়েছেন। সূরা ইউনূসের ৫৭ ও ৫৮ নং আয়াতে আছে,

হে লোকেরা! তোমাদের কাছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে নসীহত এসে গেছে। এটি এমন জিনিস যা অন্তরের রোগের নিরাময় এবং যে তা গ্রহণ করে নেয় তার জন্য পথনির্দেশনা ও রহমত। হে নবী! বলো, “এ জিনিসটি যে, তিনি পাঠিয়েছেন এটি আল্লাহর ফযল এবং তার মেহেরবানী। এ জন্য তো লোকদের আনন্দিত হওয়া উচিত। তারা যা কিছু জমা করছে সে সবের চেয়ে এটি অনেক ভাল।”