Sunday, April 26, 2015

মৃত্যু

মৃত্যু
=========================

কোন প্রাণীই উপাস্যের অনুমতি ছাড়া মরে না।
মৃত্যুর সময় তো লেখা আছে।
যে ব্যক্তি নগদ লাভের আশায় কাজ করে
আমি তাকে তা থেকেই দেই।
আর যে ব্যক্তি ভবিষ্যত প্রতিফলের আশায় কাজ করে
সে পরবর্তীতে পুরস্কার পায়।
আর কৃতজ্ঞ লোকদেরকে আমি অবশ্যই প্রতিদান দেই।
৩/১৪৫।

এরা নিজেরা বসে থাকলো
এবং এদের ভাই–বন্ধু যারা লড়াই করতে গিয়ে মারা গিয়েছিল,
তাদের সম্পর্কে বলেছিলঃ
যদি তারা আমাদের কথা মেনে নিতো,
তাহলে মারা যেতো না।
ওদের বলে দাও,
তোমরা নিজেদের একথায় যদি সত্যবাদী হয়ে থাকো,
তাহলে তোমাদের নিজেদের মৃত্যু যখন আসবে
তখন তা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করে দেখিও।
৩/১৬৮।

আর মৃত্যু,
সে তোমরা যেখানেই থাকো না কেন
সেখানে তোমাদের নাগাল পাবেই,
তোমরা কোন মজবুত প্রাসাদে অবস্থান করলেও।
যদি তাদের কোন কল্যাণ হয় তাহলে তারা বলে,
এতো উপাস্যের পক্ষ থেকে হয়েছে।
আর কোন ক্ষতি হলে বলে, এটা হয়েছে তোমার বদৌলতে।
বলে দাও, সবকিছুই হয় উপাস্যের পক্ষ থেকে।
লোকদের কী হয়েছে, কোন কথাই তারা বোঝে না।
৪/৭৮।

এ দুঃখের পর উপাস্য তোমাদের কিছু লোককে
আবার এমন প্রশান্তি দান করলেন যে,
তারা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লো।
কিন্তু আর একটি দল,
নিজের স্বার্থই ছিল যার কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ণ,
উপাস্য সম্পর্কে নানান ধরনের ধারণা পোষণ করতে থাকলো,
যা ছিল একেবারেই সত্য বিরোধী।
তারা এখন বলেছে,
“এই কাজ পরিচালনার ব্যাপারে
আমাদেরও কি কোন অংশ আছে?”
তাদেরকে বলে দাও, “(কারো কোন অংশ নেই, )
এ কাজের সমস্ত ক্ষমতা একাকার উপাস্যের।”
আসলে এরা নিজেদের মনের মধ্যে
যে কথা লুকিয়ে রেখেছে
তা তোমাদের সামনে প্রকাশ করে না।
এদের আসল বক্তব্য হচ্ছে,
“যদি (নেতৃত্ব) ক্ষমতায় আমাদের কোন অংশ থাকতো,
তাহলে আমরা মারা পড়তাম না।”
ওদেরকে বলে দাও,
“যদি তোমরা নিজেদের গৃহে অবস্থান করতে
তাহলেও যাদের মৃত্যু লেখা হয়ে গিয়েছিল,
তারা নিজেরাই নিজেদের বধ্যভূমির দিকে এগিয়ে আসতো।”
আর এই যে বিষয়টি সংঘটিত হলো, এটি এ জন্য ছিল যে,
তোমাদের বুকের মধ্যে যা কিছু গোপন রয়েছে
উপাস্য তা যাচাই করে নেবেন
এবং তোমাদের মনের মধ্যে যে গলদ রয়েছে
তা দূর করে দেবেন।
উপাস্য মনের অবস্থা খুব ভালো করেই জানেন।

তোমাদের মধ্য থেকে যারা মোকাবিলার দিন
পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিল
তাদের এ পদস্খলনের কারণ এই ছিল যে,
তাদের কোন কোন দুর্বলতার কারনে
শয়তান তাদের পা টলিয়ে দিয়েছিল।
উপাস্য তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
উপাস্য বড়ই ক্ষমাশীল ও সহনশীল।

হে বিশ্বাসীগণ!
অবিশ্বাসী/অকৃতজ্ঞ/অস্বীকারকারীদের মতো কথা বলো না।
তাদের আত্মীয়স্বজনরা কখনো ভ্রমনে গেলে
অথবা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে
(এবং সেখানে কোন দুর্ঘটনায় পতিত হলে) তারা বলে,
যদি তারা আমাদের কাছে থাকতো তাহলে মারা যেতোনা
এবং নিহত হতো না।
এ ধরনের কথাকে উপাস্য তাদের মানসিক খেদ
ও আক্ষেপের কারণে পরিণত করেন।
নয়তো জীবন–মৃত্যু তো একমাত্র উপাস্যই দান করে থাকেন
এবং তোমাদের সমস্ত কার্যকলাপের ওপর তিনি দৃষ্টি রাখেন।
৪/১৫৪-১৫৬।

তিনিই রাত্রিকালে তোমাদের মৃত্যু ঘটান
এবং দিবসে তোমরা যা কিছু করো তা জানেন।
আবার পরদিন তোমাদের সেই কর্মজগতে ফেরত পাঠান,
যাতে জীবনের নির্ধারিত সময়-কাল পূর্ণ হয়।
সবশেষে তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হয়।
তখন তিনি জানিয়ে দেবেন- তোমরা কি কাজে লিপ্ত ছিলে।
তিনি নিজের দাসদের ওপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন
এবং তোমাদের ওপর রক্ষক নিযুক্ত করে পাঠান।
অবশেষে যখন তোমাদের কারোর মৃত্যুর সময় সমুপস্থিত হয়
তখন তাঁর প্রেরিত দেবত্বগণ তার প্রাণ বের করে নেয়
এবং নিজেদের দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে
তারা সামান্যতম শৈথিল্যও দেখায় না।
তারপর তাদের প্রকৃত বাদশাহ ও প্রভু
একাকার উপাস্যের দিকে তাদের সবাইকে ফিরিয়ে আনা হয়।
সাবধান হয়ে যাও!
ফায়সালা করার যাবতীয় ক্ষমতার অধিকারী হচ্ছেন একমাত্র তিনিই
এবং তিনি হিসেব গ্রহণের ব্যাপারে অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন।
৬/৬০-৬২।