...পিতামাতার সাথে সর্বোত্তম আচরন করো।... (আল আন’আমঃ ১৫১)
তোমার প্রভূর আদেশঃ
তোমরা কারোর দাসত্ব করো না,
একমাত্র তাঁরই দাসত্ব করো।
পিতা-মাতার সাথে সর্বোত্তম আচরন করো।
যদি তোমাদের কাছে তাদের কোন একজন
বা উভয়ে বৃদ্ধ অবস্থায় থাকে,
তাহলে (কোন কারনে বিরক্তিতে)
তাদেরকে “উহ্” পর্যন্তও বলো না
এবং তাদেরকে ধমকের সুরে জবাব দিয়ো না।
বরং তাদের সাথে মর্যাদা সহকারে কথা বলো।
আর দয়া ও কোমলতা সহকারে
তাদের সামনে বিনম্র থাকো
এবং প্রার্থনা করতে থাকো এই বলে,
হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া করো,
যেমন তারা দয়া,মায়া,মমতা সহকারে
শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।
(সূরা বনী ইসরাঈলঃ ২৩-২৪)
“হে ইয়াহইয়া!
আল্লাহর কিতাবকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো।”
আমি তাকে শৈশবেই প্রজ্ঞা দান করেছি
এবং নিজের পক্ষ থেকে হৃদয়ের কোমলতা
ও পবিত্রতা দান করেছি,
আর সে ছিল খুবই আল্লাহভীরু
এবং নিজের পিতামাতার অধিকার সচেতন।
সে উদ্ধত ও অবাধ্য ছিল না।
শান্তি তার প্রতি যেদিন সে জন্ম লাভ করে
এবং যেদিন সে মৃত্যুবরণ করে
আর যেদিন তাকে জীবিত করে উঠানো হবে।
(সূরা মারয়ামঃ ১২-১৫)
আমি মানুষকে নিজের পিতা-মাতার সাথে
সর্বোত্তম আচরন করার নির্দেশ দিয়েছি।
কিন্তু যদি তারা তোমার ওপর চাপ দেয় যে,
তুমি এমন কাউকে আমার সাথে অংশীদার করো
যাকে তুমি (প্রভূ হিসেবে) জানো না,
তাহলে তাদের আনুগত্য করো না।
আমার দিকেই তোমাদের সবাইকে ফিরে আসতে হবে,
তখন আমি তোমাদের জানাবো তোমরা কি করছিলে।
(সূরা আল আনকাবুতঃ ৮)
আর প্রকৃতপক্ষে আমি মানুষকে
তার পিতা-মাতার অধিকার চিনে নেবার জন্য
নিজেই জোর দিয়েছি।
তার মা দুর্বলতা সহ্য করে
তাকে নিজের গর্ভে ধারণ করে
এবং দু’বছর লাগে তার দুধ ছাড়তে।
(এ জন্য আমি তাকে উপদেশ দিয়েছি)
আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো
এবং নিজের পিতা-মাতার প্রতিও,
আমার দিকেই তোমাকে ফিরে আসতে হবে।
কিন্তু যদি তারা তোমার প্রতি আমার সাথে
এমন কাউকে অংশীদার করার জন্য চাপ দেয়
যাকে তুমি (প্রভূ হিসেবে) জানো না,
তাহলে তুমি তাদের কথা কখনোই মেনে নিয়ো না।
দুনিয়ায় তাদের সাথে সদাচার করতে থাকো
কিন্তু মেনে চলো সে ব্যক্তির পথ
যে আমার দিকে ফিরে এসেছে।
তারপর তোমাদের সবাইকে ফিরে আসতে হবে
আমারই দিকে।
সে সময় তোমরা কেমন কাজ করছিলে
তা আমি তোমাদের জানিয়ে দেবো।
(সূরা লোকমানঃ ১৪-১৫)
আমি মানুষকে এই মর্মে নির্দেশনা দিয়েছি যে,
তারা যেন পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করে।
তার মা কষ্ট করে তাকে গর্ভে ধারণ করেছিলো
এবং কষ্ট করেই তাকে প্রসব করেছিলো।
তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধপান করাতে ত্রিশ মাস লেগেছে।
এমন কি যখন সে পূর্ণ যৌবনে পৌঁছেছে
এবং তারপর চল্লিশ বছর বয়সে উপনীত হয়েছে
তখন বলেছেঃ “হে আমার রব,
তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে
যেসব অনুগ্রহ দান করেছো
আমাকে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সামর্থ্য দাও।
আর এমন সৎ কাজ করার সামর্থ্য দাও
যা তুমি পছন্দ করো।
আমার সন্তানদেরকে সৎ বানিয়ে আমাকে সুখ দাও।
আমি তোমার দিকে সম্পূর্ণ ফিরলাম।
আমি তোমার প্রতি সম্পূর্ণ সমর্পিত।”
(সূরা আল আহক্বাফঃ ১৫)
শিশু বলে উঠলো,
“আমি আল্লাহর দাস,
তিনি আমাকে গ্রন্থ দিয়েছেন
ও তাঁর বার্তা প্রচারক করেছেন।
এবং সমৃদ্ধ করেছেন
যেখানেই আমি থাকি না কেন
আর যতদিন আমি বেঁচে থাকবো
ততদিন প্রার্থনা ও পরিশুদ্ধির আদেশ দিয়েছেন।
আর নিজের মায়ের অধিকার আদায়কারী করেছেন,
এবং আমাকে অহংকারী ও হতভাগা করেননি।
(সূরা মারয়ামঃ ৩০-৩২)
No comments:
Post a Comment